(কামদুনির নির্যাতিতা কন্যার স্মৃতির উদ্দেশে )
সুসভ্য মানব জাতীর অসভ্য নখরাঘাতে
রক্তাপ্লুতা হে বীরাঙ্গনা
তুমি তো চলে গেলে।
ছিন্ন ভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নিদারুন যন্ত্রনা –
অবমানিত তোমার নারীত্বের মাধুর্য -
এসব-ই সহ্য করে
এ সব এর সাথেই লড়াই করে
তুমি তো চলে গেলে
সব যন্ত্রনার ঊর্দ্ধে,
আর ছড়িয়ে দিয়ে গেলে সেই যন্ত্রণা
শত কোটী মানুষের মণে।
তোমার নিঃশব্দ চলে যাওয়ার
সশব্দ দামামা ধ্বনিতে
লজ্জায় অবনত শতকোটী মাথা।
অপদার্থ দ্বিশতকোটী বাহু
অসমর্থ তোমার সম্ভ্রম রক্ষায়।
ইশ লজ্জা – বড় লজ্জা ।।
হে বীরাঙ্গনা
তোমার যুদ্ধক্লান্ত মুখের ছবি
জাগরিত থাক আমার হৃদয়ে অনিবার,
আগুনে ঘৃতাহুতির মত
পাশবিকতার বিরুদ্ধে জ্বালুক দাউ দাউ আগুন।
ছড়িয়ে পড়ুক সেই আগুন দাবানলের মত
ধ্বংস করুক, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করুক
মুনুষ্য নামধারী সমস্ত পাশবিকতা কে।।
হে বীরাঙ্গনা
তোমার যন্ত্রনাকাতর মুখ,
তোমার অসহায় আর্তস্বর,
তুলুক নিনাদ মানুষের মনে।
নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে উঠুক রনভেরী
শেষ হোক এই পাশবিকতার মহামিছিল।।
হে বীরাঙ্গনা
আগামী দিনের সেই শুভদায়ক যুদ্ধে
তুমি-ই তো হবে সেনাপতি,
কলি যুগে অসুর দলনে তুমি-ই তো মা দুর্গা।।
তাই হে বীরাঙ্গনা
তমি তো আমার ও কন্যা
তবুও আমি তোমায় প্রনাম করি।
তোমার যাত্রা সুগম ও ত্বরান্বিত হোক।।
পশ্চিমবঙ্গ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন