২০.৫.১৬

ঊনিশে মে


উনিশে মে তোমাকে জানাই,
শোক-সন্তপ্ত অভিবাদন।
একই সাথে একাদশ শহিদের
প্রতি, শ্রদ্ধাবনত স্মরণ ।
যাঁরা জীবনের বিনিময়ে,
দিয়ে গেছে মোদের ভাষার অধিকার।
ভাষাকে ইতিহাস না হতে দিয়ে,
নিজেরাই হয়েছে ইতিহাস।
রক্তচক্ষু আর বন্দুকের নল,
পারেনি দমাতে যাদের ভাষাপ্রেম।
বুলেটের আঘাতে হয়েছিল ইতি,
যাদের জীবনের তামাম খেল।
তাঁরা কি জানে, কেমন আছে,
প্রানপ্রিয় ভাষা, আজ বাঙালি হৃদয়ে?
তাঁরা কি জানে? বাঙালি আজ,
বদলে গেছে অনেকটা।
তাঁরা কি জানে? কালেরই গতিতে
সবকিছুরই হয়েছে পরিবর্তন।
এমন কি সেই শহিদ রক্তে রঞ্জিত
শিলচর রেল ষ্টেশন।
যে মাটির বক্ষে, শহিদ রক্তে,
ফোয়ারা উঠেছিল সেদিন।
ইট-পাথর স্তূপে পড়েছে ঢাকা,
আজ সে মাটিরও চিন।
শুধু কি তাই?
বাঙালি-স্বত্তা ও যে আজ
সুপ্ত আগ্রাসনে দিশেহারা।
এখন আর বাঙালির বীরত্ব কাহিনী,
দেয় না মোদের নাড়া।
কখন কিভাবে কোথায়,
বাঙালি হারায়, নিজ জাতিস্বত্তা।
বাঙালি আজ, ভুলিয়াছে আপন ইতিহাস,
তাইতো লাঞ্চনা সহজাত।
কে বলিবে আমায়,
বাঙালি আবার জাগিবে কখন কোথায়?
আমায় ও যে জাগতে হবে,
থাকতে হবে সবার সাথে।।
-বাংলাদেশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন