২৬.৫.১৬

অদ্বৈত মল্লবর্মন ও ' তিতাস একটি নদীর নাম


অদ্বৈত মল্লবর্মণ বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক তার লেখা উপন্যাস ‘তিতাস একটি নদীর নাম' এমন একটি সফর সৃষ্টি যা লেখককে বাংলা সাহিত্যের উপন্যাসের ধারায় একটি মর্যাদাপূর্ণ আসন দান করেছে। আঞ্চলিক জীবন অবলম্বনে লেখা উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে বিরল নয়। কিন্তু ‘তিতাস একটি নদীর নাম' উপন্যাসে লেখক যে জীবন সংশ্লিষ্টতার আন্তরিক পরিচয় দান করেছেন একটি সম্প্রদায়ের বাস্তব চিত্র। এ উপন্যাসে লেখকের ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যও ফুটে উঠেছে। এখানে জীবনকে খুব কাছে থেকে দেখার বাস্তব অভিজ্ঞতা আশ্চর্য নির্লিপ্ততার সাথে রূপায়িত হয়েছে। জীবনের সঙ্গে এই নিবিড় সম্পর্কের কারণে উপন্যাসটি হয়ে উঠেছে আকর্ষণীয় ও আদরনীয়। যা লেখককে তার স্বল্পসংখ্যক সাহিত্যকীর্তি সত্ত্বেও স্থায়িত্ব দান করেছে। অদ্বৈত মল্লবর্মণের জীবন প্রবল প্রতিবন্ধকার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে এই মহান সাহিত্য সাধকের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাছেই তিতাস নদীর তীরের গ্রাম গোকর্ণঘাটে ১ জানুয়ারি ১৯১৪ সালে। তার পিতার নাম ছিল অধরচন্দ্র মল্লবর্মণ। লেখাপড়া করার অনুকূল সুযোগ তার ঘটেনি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীতে ভর্তি হলেও সেখান থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল। তারপর অল্পদিনের কর্মময় জীবন অতিবাহিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করে।
অদ্বৈত ১৯৩৪ সালে মাসিক ত্রিপুরা পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন। মোটকথা, ১৯৩৪ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত এই দীর্ঘ ১৬ বছর অদ্বৈত মল্লবর্মণ তার সাংবাদিক জীবনে যুগপৎ সাহিত্য ও সাংবাদিকতার অসাধারণ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হন। কলকাতায় তার কর্মজীবনে লেখালেখিতে সময় কেটেছে। অত্যন্ত অভাব-অনটন, রোগ-শোক, দুঃখ-দারিদ্র্য তার জীবনের নিত্যসঙ্গী ছিল। এর ফলে নিরবচ্ছিন্নভাবে নির্ভাবনায় সাহিত্য ধারা অক্ষণ্ণ রাখা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। তার বাতিক ছিল বইপত্র কেনার এবং গরীব আত্মীয়-স্বজন, চেনা-জানা লোকদের অর্থ সাহায্য দান করা। কলকাতায় নিজের সীমিত রোজগার থেকে মালোপাড়ার শিশু-কিশোরদের ঘরোয়া বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য তিনি উপেন্দ্রবাবুর স্বল্পশিক্ষিত বিধবা প্রফুল্লকে নিয়মিত অর্থ প্রেরণ করতেন। তিতাস পাড়ের যেসব মালো ও অন্যান্য পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল তাদের যথাসাধ্য দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন অদ্বৈত মল্লবর্মণ। যেজন্য তার বন্ধুরা বলেন, ‘আমরা চিরকাল অদ্বৈতকে তাহার মুষ্টি অন্য বহুজনের সঙ্গে ভাগ করিয়া খাইতে দেখিয়াছি।' যা তিনি উপার্জন করতেন তা এসব জনহিতকর কাজে ব্যয় করতেন। নিজেকে ভাল করে ভরণপোষণের সুব্যবস্থা তার ছিল না। ফলে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে জীবনের অবসান ঘটে। এই মহান সাহিত্যিক ১৯৫১ সালের ১৬ এপ্রিল নারকেলডাঙ্গার ষষ্ঠীতলার বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্য হারিয়েছে একজন সাহিত্যরত্ন।
সাহিত্যকীর্তি হিসেবে ‘তিতাস একটি নদীর নাম' উপন্যাসের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। উপন্যাসের এই শ্রেষ্ঠত্ব নির্ভর করছে এর বিষয়বস্তু নির্বাচনে, চরিত্র-চিত্রণে এবং এর প্রকাশভঙ্গি তথা ভাষায়। লেখক যেন নিজের জীবন থেকে এর কাহিনী নির্বাচন করেছেন। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট সাহিত্যিক তিতাশ চৌধুরী, তার লেখা অদ্বৈত মল্লবর্মণ ও অন্যান্য প্রবন্ধ নামক গ্রন্থে বলেছেন, ‘এই বৈশিষ্ট্য অদ্বৈত মল্লবর্মণ নিজেই তাঁর উপন্যাস ‘তিতাস একটি নদীর নাম' এ নির্মাণ করেছেন বলে আমার মনে হয়। ........পৃথিবীর সাহিত্যের ইতিহাসে অন্ত্যজ শ্রেণী থেকে উঠে আসা স্বশিক্ষিত ও সুশিক্ষিত গাল্পিক ও ঔপন্যাসিক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মতো আর কেউ আছেন বলে আমার জানা নেই। সেজন্যই তাঁর উপন্যাস ‘তিতাস একটি নদীর নাম' স্বকীয় বৈশিষ্ট্য উজ্জ্বল। এর সঙ্গে কারো উপন্যাসই মেলানো যায় না। গল্পও। তিনি যাদের মধ্য থেকে বড় হয়েছেন তাদের কাহিনী নিয়েই উপন্যাসের ঘটনাবলি সাজানো হয়েছে। তিতাস নদীর তীরে জেলেদের গ্রাম। সে গাঁয়ে তারা যুগ যুগ ধরে বসবাস করে। তাদের জীবিকা আসে তিতাসের বুক থেকে। তবে সে যাই হোক না কেন, ‘তিতাস' যে পৃথক একটি সত্বা-পৃথক একটি ‘কঠিন বাস্তব ছাঁচে বানানো অপরূপ শিল্পিত জীবন গাঁথা', তা এককালের অদ্বৈতর সতীর্থ অধ্যাপক সুবোধ চৌধুরীর ভাষ্যেও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, ‘আমি তিতাস দেখেছি। আমি সমুদ্র দেখেছি, পাহাড় দেখেছি। অনেক বিচিত্রতর মানুষের সঙ্গে মিশেছি। কিন্তু অদ্বৈত মল্লবর্মণের ছিল মানুষ সম্পর্কে সুগভীর Insight, এমনটি আমাদের ছিল না। আমরা দেখেছি, দর্শকের মতো, ভালো হয়তো লেগেছে। তবে অদ্বৈত দেখেছেন শিল্পীর চোখে। তাঁর সত্তার সঙ্গে তিতাস ছিল মিশে। এটা পৃথক করতে পারেননি তিনি, চানও নি। তার উপর ছিল উদার দৃষ্টিভঙ্গি।..........প্রথম যখন পান্ডুলিপি জমা দিয়েছিলেন, আমি বলেছিলাম মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখলেন ‘পদ্মা নদীর মাঝি' আর কি তোমার বই নেবে? বলেছিলেন অদ্বৈত সুবোধা, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বড় Artist, Mast

artist কিন্তু বাওনের পোলা রোমান্টিক। আর আমি তো ‘জাউয়ার পোলা' আর কিছু বলেননি। পরিচয়ের এই প্রত্যক্ষতাই ছিল তার গৌরবের ভিত।' মাছ ধরে নৌকা বেয়ে জেলেদের জীবন অতিবাহিত হয়। জীবিকার জন্য লোকেরা পরিশ্রম করলেও তারা প্রাচুর্যের মুখ দেখে না। অভাব-অনটন তাদের জীবনের নিত্যসঙ্গী। এই দুঃখ দারিদ্র্যপূর্ণ জীবন আসে প্রেম ভালবাসায়। সেখানেও নিরবচ্ছিন্ন সুখ খুঁজে পাওয়া যায় না। সংসার জীবন কাটে দুঃখ দারিদ্রে্য। বেশ কয়েকটি চরিত্রের মাধ্যমে লেখক সেই দৈন্য পীড়িত কাহিনীর রূপ দিয়েছেন। এতে যে কষ্টের জীবন তাও নির্বিঘ্ন থাকে না। প্রাকৃতিক নিয়মে এক সময় নদীতে চর পড়ে যায়। নদী যায় শুকিয়ে। শেষ হয়ে যায় নদীর যৌবন। শেষ হয় নদীর মাছ ও ঢেউতরঙ্গ। নিরুপায় হয়ে জেলেরা তখন বেঁচে থাকার তাগিদে তাদের যুগ যুগান্তরের আবাস ছেড়ে জীবিকা সন্ধানে অন্যত্র চলে যায়। এভাবেই কেউ কেউ আর কোনো উপায় না পেয়ে সেখানেই থেকে যায়। তাদের তখন দুঃখের শেষ থাকে না। এ যেন এক নির্মম বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। একান্ত অসহায় সেইসব মানুষের কাহিনী রূপায়িত হয়েছে, ‘তিতাস একটি নদীর নাম' উপন্যাসে। এ সম্পর্কে অদ্বৈতর জীবনীকার অধ্যাপক শান্তনু কায়সারের মূল্যায়ন ও বিচার উপেক্ষণীয় নয়। তিনি বলেন, ‘তিতাস জীবনের শেকড় প্রাকৃত জীবনের গভীরে প্রোথিত। এই প্রাকৃত জীবনকে বাইরে থেকে যতই সরল দেখাক এর ভেতরে প্রবেশ করলে দেখা যাবে, তা বহু ভঙ্গিম বৈচিত্র্যের অধিকারী। সারল্যের মধ্য দিয়ে এই বৈচিত্র্যের অনুসন্ধান করেছে ঔপন্যাসিক ‘তিতাস একটি নদীর নাম' উপন্যাসে। ফলে নদীকেন্দ্রীক বাংলা সাহিত্যের উপাদানসমূহের মধ্যে অন্য যে উপন্যাসটি প্রাকৃত জীবনকে ধারণ করেছে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ‘পদ্মা নদীর মাঝি'র সঙ্গে তুলনা করলেও ‘তিতাস একটি নদীর নাম' অনন্য হয়ে উঠে। প্রায় একই সুর লক্ষ্য করা যায় বিপ্লব চক্রবর্তীর কণ্ঠেও। তিনি বলেন ‘তাকষি শিবঙ্কর পিল্লাই এর ‘চিংড়ি' সমরেশ বসুর ‘গঙ্গা' ও অদ্বৈত মল্লবর্মণের ‘তিতাস একটি নদীর নাম' (এবার থেকে তিতাস) তিনটি বিশিষ্ট ভারতীয় উপন্যাস। মালয়ালম ভাষায় লেখা ‘চিংড়ি', কেরলের সমুদ্র উপকূলের পটভূমিতে লেখা এক অনবদ্য রচনা। অন্যদিকে ‘গঙ্গা' ও ‘তিতাস' দুটি রচনারই মূল বিষয় মৎস্যজীবীদের জীবন। সম্পূর্ণ তিনটি পৃথক পরিবেশ ও পটভূমি নির্ভর রচনা হলেও এই তিনটি রচনাতেই মৎস্যজীবীদের জীবন চর্চার সমাজতান্ত্রিক পরিচয় ফুটে উঠতে দেখা যায়। ‘চিংড়ি' ও ‘গঙ্গা'র সাদৃশ্য চোখে পড়ে বেশি এবং ‘তিতাস'-এর বর্ণনায় এইসব সাদৃশ্য সূত্র কম-বেশি থাকলেও এই উপন্যাসটি কতকগুলো নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল।' উপন্যাসের কাহিনীটি বর্ণিত হয়েছে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে। উপন্যাসে যে সমাজের কথা বলা হয়েছে লেখক সে সমাজেরই লোক। তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা অকৃত্রিমভাবে প্রকাশ পেয়েছে। মালো সম্প্রদায়ের জীবন যথাযথ রূপায়নের যে চেষ্টা এ উপন্যাসে দেখা যায় তা অত্যন্ত বাস্তব। তিতাসের তীরবর্তী গ্রামগুলোর সবুজ আল সবুজের ছড়াছড়ি এ পাকা ধানের মাদকতাময় গন্ধ আমাদেরকে নিয়ে যায় ভিন্ন এক জগতে। ফুটে ওঠেছে গ্রামের সহজ-সরল মানুষের প্রতিচ্ছবিও। সাধারণ মানুষের কাহিনী হিসেবে এই উপন্যাস অবশ্যই বাস্তবানুসারী যথাযথভাবে কাহিনী বর্ণনাতেই লেখকের কৃতিত্ব। চরিত্র-চিত্রণে লেখকের স্বার্থকতা সম্পর্কেও সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। ছোট-বড় অনেকগুলো চরিত্র এ উপন্যাসে ভিড় করেছে। লেখক চরিত্র-চিত্রণে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। মালো সম্প্রদায়ের লোকগুলো বাস্তবে যেভাবে জীবনযাপন করে লেখক সেভাবেই তাদের রূপ দিয়েছেন। কিশোর, সুবল, অনন্ত, বনমালী প্রমুখ অসংখ্য চরিত্র এ উপন্যাসে স্থান পেয়েছে। প্রতিটি চরিত্রই স্ব-স্ব স্থানে স্বকীয়তায় সমুজ্জ্বল। চরিত্রগুলো রূপায়নে লেখক স্বাভাবিকতা বজায় রেখেছেন। এসব চরিত্রের মাধ্যমে মালো জীবনের যথাযথ পরিচয় পাওয়া যায়। দুঃখ-দুর্দশা, অভাব-অনটনে বিপর্যস্ত তাদের জীবন। জীবিকা উপার্জনের পথ তাদের সংকীর্ণ। এর মধ্যেই নিদারুণ কষ্টে তাদের জীবন অতিবাহিত হয়। পরম ধৈর্য্যের সঙ্গে জীবনের কষ্টগুলোর সাথে তারা লড়াই করে। বিভিন্ন মত-পথ, ধর্ম-বর্ণের লোক গ্রামে বসবাস করে। তাই বলে তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতির কোনো অভাব নেই। ধৈর্য্যশীল এসব মানুষ জীবনের সঙ্গীকে স্বাভাবিক বলে গ্রহণ করেছে। সমাজচিত্র হিসেবে উপন্যাসটি বিশেষ গুরুত্বের অধিকারী। তিতাস নদীর তীরবর্তী মালো সম্প্রদায়ের যে জীবন এ উপন্যাসে উপস্থাপিত হয়েছে তা একান্ত কৃত্রিমতা রহিত। লেখকের প্রকাশভঙ্গি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। যে জীবনচিত্র লেখক অঙ্কন করেছেন তাকে বাস্তবানুগ করার জন্য যথোপযুক্ত ভাষাও প্রয়োগ করেছেন। চরিত্রগুলোর মুখে সেসব আঞ্চলিক ভাষা দেয়া হয়েছে তেমনি যথাযথ পরিবেশ বর্ণনার জন্য আঞ্চলিক শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে। লেখকের বর্ণনার ভাষায় কোনো জটিলতা নেই। বর্ণনার দুরূহতা দূর করার জন্য তিনি চেষ্টা করেছেন। সহজ-সরল ভাষা ব্যবহার করায় উপন্যাসটি সুখপাঠ্য হয়েছে।
স্বাভাবিক ভাষা প্রয়োগে উপন্যাসটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ‘তিতাস একটি নদীর নাম' উপন্যাসটি একটি আঞ্চলিক জীবনচিত্র হিসেবে সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই উপন্যাস সম্পর্কে ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল মন্তব্য করেছেন, ‘কেবল একটি উপন্যাস রচনা করেই শ্রী অদ্বৈত মল্লবর্মন বাংলা সাহিত্যে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্তর্গত গোকর্ণ গ্রামের ধীবর সম্প্রদায়ের জীবনচর্চা তাঁর ‘তিতাস একটি নদীর নাম' গ্রন্থে যে-আন্তরিক মমতায় রূপায়িত হয়েছে তার তুলনা বাংলা সাহিত্যে খুব বেশি নেই। দরিদ্র ধীবর পরিবারের সন্তান অদ্বৈত মল্লবর্মন তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও সুগভীর অন্তর্দৃষ্টির বলে এক উপেক্ষিত সমাজের জীবন সংগ্রামের কাহিনীকে দিয়েছেন অবিনম্বরতা।' এ সম্পর্কে সুমিতা চক্রবর্তীর কথা একটু স্মরণ করা যায়। ‘অদ্বৈত মল্লবর্মনকে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একেবারে অবহেলিত বলা যায় না। একটিমাত্র উপন্যাসের সুবাদে (শোনা যায় আরো একটি বা দুটি উপন্যাস লিখেছিলেন কিন্তু সম্ভবত(?) তা পাওয়া যায়নি এখনও) তাঁর স্থান সংরক্ষিত হয়েছে মহৎ সাহিত্যিকদের সারিতে।'
ঔপন্যাসিক অদ্বৈত মল্লবর্মন তাঁর অমর সৃষ্টিকর্ম ‘তিতাস একটি নদীর নাম' নামক উপন্যাসের জন্য বাংলা সাহিত্যে অনন্য হয়ে আছেন। সেজন্য বাংলা উপন্যাসের জগতে একটা স্থায়ী আসন পেতে বসে আছেন। পরিশেষে একথা বলা যায় যে, অদ্বৈত মল্লবর্মন ছিলেন বাংলা সাহিত্যাকাশের মিটমিট করে জ্বলা এক উজ্জ্বল তারকা।


  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন